ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীবেশে ডাকাতি, গ্রেফতার ৪

 


ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীবেশে ডাকাতি করা চক্রের সরদারসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন টাঙ্গাইল পিবিআই কার্যালয়ে এক প্রেস বিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মলেনে তিনি আরও জানান, সোমবার আমাদের কাছে একটি অভিযোগ আসে যে, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে করটিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারের ড্রাইভার সেজে পাবনা জেলার সাথিয়া থানার তাঁতীপাড়া এলাকার মো. মিজানুর রহমানের ছেলে মো. মাহতাব হোসেনকে ১৫০ টাকা ভাড়ায় সিরাজগঞ্জ পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে রওনা দেয় ডাকাত দলের সদস্যরা। এ সময় আরো দুজন যাত্রীবেশে ডাকাত দলের সদস্যদের প্রাইভেটকারে তুলে নেয়। পরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পার হয়ে নির্জন স্থানে পৌঁছালে গাড়ির ভেতরে থাকা যাত্রীবেশে ডাকাত দলের সদস্যরা মাহতাব হোসেনকে হাত-পা কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে দুটি মোবাইল ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। পরে মাহতাবকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার বাবার কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা মোবাইলে ফোনে বিকাশ করতে বলে। পরে বিকাশে ২৪ হাজার টাকা আসার পর তা ক্যাশ করে মাহতাবকে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক এলাকায় ফেলে চলে যায়।

অপরদিকে টাঙ্গাইল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার মহড়ায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মো. বেলাল হোসেনের সঙ্গে একই কায়দায় প্রাইভেটকারে উঠিয়ে মারধরসহ হত্যা করার ভয় দেখিয়ে নগদ ৪৪ হাজার টাকা ও পরে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা লুণ্ঠন করে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায় বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, এ দুই ঘটনার জের ধরে তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত আসামিদের ঢাকার মিরপুর, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর, গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালানো হয়। ডাকাত সরদার নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার তেঁতুলিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে সোহেল রানা (৩৬), ডাকাত দলের সদস্য ভোলা জেলার ইলিশা গ্রামের মৃত. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. মিজান (৩৩), মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার বাসাইল উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত. সুলতান ব্যাপারীর ছেলে সাবাস (৩২) এবং নেত্রকোনা জেলার কেন্দ্রয়া থানার বান্নানাল গ্রামের মৃত. হয়রত আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, লুট করা মোবাইল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। সে সঙ্গে গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে গাবতলী থেকে পাবনা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ডাকাতি করে আসছিল। এ পর্যন্ত তাদের কেউ আটক করতে পারেনি। তারা বিভিন্ন কোড নাম ও কৌশল ব্যবহার করায় তাদের নামে কোনো মামলাও হয়নি বলে জানান পুলিশ সুপার।

Post a Comment

Previous Post Next Post