দুঃসময় যেন কাটছেই না বার্সেলোনার। এবার ঘরের মাঠে এইবারের কাছে হোঁচট খেলো কাতালানরা। পেনাল্টি মিসের খেসারত দিলো কোম্যান শিষ্যরা। এইবারের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্রয়ে পয়েন্ট হারিয়েছে মেসিরা। বার্সার হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন ওসমান ডেম্বেলে।
গভীর অন্ধকারে ঘুরপাক খাচ্ছে স্পেনের অন্যতম সফল দলটা। একটু আলোর খুঁজে কতই না চেষ্টা। কিন্তু দিন শেষে কাটেই না ঘোর, হতাশাই সঙ্গী হচ্ছে বার্সেলোনার। কাঙ্খিত সুদিনের আশায় ঘরের মাঠে এইবারকে আতিথ্য দেয় কাতালানরা।
ন্যু ক্যাম্পে ইনজুরির কারণে নেই প্রাণভোমর লিওনেল মেসি। তার জায়গাটা এদিন থাকলো স্ট্যান্ডেই। সবশেষ দেখায় ৫-০ গোলের জয় ছিল দলটার বিপক্ষে। যে ম্যাচটায় একাই ৪ গোল করেছিলেন ক্ষুদে জাদুকর। তার অবর্তমানে ভুগতে হলো কাতালুনিয়দের।
তবে মেসিবিহীন বার্সার শুরুটা ছিল আশানুরূপ। কিক অফ থেকে প্রতিপক্ষ শিবিরে আক্রমণ শান দেন বার্সা ফরোয়ার্ডরা। ৬ মিনিটে ভিএআরে পেনাল্টি আদায় করে নেন রোনাল্ড আরোজো। কিন্তু কে জানতো ম্যাচের শুরুতেই এমন হতাশ হতে হবে তাদের। মার্টিন ব্র্যাইথওয়েট পেনাল্টি মিস করলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি স্বাগতিক শিবিরের।
এরপর জামাট রক্ষণ বাঁধে এইবার। বারবার চেষ্টা করেও কাঙ্খিত একটা গোলের দেখা পায়নি বার্সেলোনা। যদিও ২৭ মিনিটে আরো একটা সুযোগ এসেছিল। ভুলে প্রায়শ্চিত্ব করতে চেয়ে ছিলেন ব্রাইথওয়েট। এইবারের জালটাও কাঁপিয়ে ছিলেন ঠিকই। কিন্তু ঐ ভিএআরে বাতিল করা হয় গোল।আরো একবার হতাশ বার্সা সমর্থকরা।
প্রথমার্ধে পাল্টা আক্রমণে গিয়েছে এইবারও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি তারা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে মিস করেনি সফরকারীরা। সুযোগটা কাজে লাগান কিকে। দারুণ গোলে লিড নেয় এইবার।
গোল হজম খেয়ে তেতে উঠে বার্সেলোনা। রক্ষণ সামলে ধার বাড়ায় আক্রমণে। ঠিক ১০ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে দল। ৬৭ মিনিটে জুনিয়র ফিরপোর অ্যাসিস্টে গোল করেন ওসমান ডেম্বেলে।
সমতায় ফিরে কাতালুনিয়ানদের বারবার চেষ্টা ছিল এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু সময়টা যে তাদের পক্ষে ছিল না। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ১-১ গোলের ড্রয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় রোনাল্ড কোম্যানকে। সেই সাথে টেবিলের ৬ নম্বরেই অবস্থান থাকলো বার্সেলোনার।
Post a Comment